জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা? যা জানা গেল

জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন বলে ভারতীয় সাংবাদিকদের বলছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা— এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

আলোচিত ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ হাসিনার দুটি ভিডিওর ফুটেজ শুরুতে শেখ হাসিনার দুটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি সেটা করতে পারেননি তবে, শেখ হাসিনা সেই ভাষণ ভারতে গিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য ০৬ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন দাবি করেন।

এছাড়াও উপস্থাপক দাবি করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন— সাময়িক সময়ের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি আজীবনের জন্য নয়। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সব কিছুর হিসাব নিব আমি। এটা আমার বাবার দেশ, এটা আমার হাতে গড়া বাংলাদেশ। এতো সহজে ছেড়ে দেওয়ার মতো পাত্রী আমি নই।
মনে রেখো দিনটা তোমার ছিল বাট বছরটা আমার হবে।’ তবে, টিকটকের এই ভিডিওর ফুটেজে শেখ হাসিনাকে এমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি।
অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এর ‘ANI News’ ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি “India is trusted friend…” Bangladesh PM Sheikh Hasina lauds India’s role during 1971 Liberation War শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি প্রতিবেদনে থাকা শেখ হাসিনার ফুটেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফুজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। পুরো প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালের পরে, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবার হারিয়েছিলাম তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা।”
এছাড়াও, ভারতের এনডিটিভির ওয়েবসাইটে একই দিনে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও একই তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ, ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

parallax ad
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
সম্পর্কিত খবর
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির হলেন মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির হলেন মামুনুল হক
সব আলোচনা থামিয়ে দিলেন তামিম
সব আলোচনা থামিয়ে দিলেন তামিম
কাতার ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রত্যাশা করছি
কাতার ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রত্যাশা করছি
ঘোষণাপত্রে সবার আগে শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চায় জনগণ
ঘোষণাপত্রে সবার আগে শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চায় জনগণ
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:১৭
‘অবস্থার উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা’
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘অবস্থার উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা’
সংগৃহীত ছবি
অবস্থার উন্নতি করতে না পারলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ বন্ধের কথা ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএ ভবন পরিদর্শনের পর সেখানে সম্মেলনকক্ষে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন
শ্রমজীবীরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত : মুজিবুর রহমান
শ্রমজীবীরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত : মুজিবুর রহমান

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক আলোচনাসভা শেষে বিআরটিএকে নিজেদের অবস্থার উন্নতির জন্য এক মাস সময় নির্ধারণ করে দেন সড়ক উপদেষ্টা, সেই সময় প্রায় শেষ। তবে এই সময়ের মধ্যে বিআরটিএ কিছুটা উন্নতি করতে পারলেও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে যেতে পারেনি বলে মনে করেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, ‘বিআরটিএর কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, তাদের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তাদের এটাও বলেছি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কাজের যদি উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিআরটিএকে সব সময় মনিটরিংয়ে রাখব।

ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, এটাকে আরো বাড়ানো হবে।’
আরো পড়ুন
জাবিসাসের অনুষ্ঠানে শিবির নেতারা, গেল না ছাত্রদল
জাবিসাসের অনুষ্ঠানে শিবির নেতারা, গেল না ছাত্রদল

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘গত বছর থেকে এ বছর (২০২৪ সালে) ১২ শতাংশ বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি, এর জন্য দায় নিচ্ছি। অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসেবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি।


মতবিনিময় সভায় সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, গাড়ির ফিটনেস, চালকের লাইসেন্স ও যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে যদি সড়কে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে বিআরটি এর সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাকে দায়ী করা হবে।

দুর্ঘটনা কমাতে ও লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে আগামী ৩ মাসের মধ্যে সব জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকার সব সরকারি হাসপাতালে চালকদের ডোপ টেস্ট চালুর নির্দেশ দেন তিনি।

নকল লাইসেন্স যাচাইয়ে সরাসরি বিআরটিএর ডাটাবেইসে ঢোকার অনুমোদন পাবে ট্রাফিক পুলিশ। উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য টহল বাড়াতে হবে। গতিসীমা বাস্তবায়ন করবে পুলিশ মালিক এবং শ্রমিক সমিতি।

এ সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:০৪
শ্রমজীবীরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত : মুজিবুর রহমান
অনলাইন ডেস্ক
শ্রমজীবীরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত : মুজিবুর রহমান
ছবি : কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সারা বিশ্বে শ্রমিকরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের শ্রমিকরাও এর ব্যতিক্রম নন। শ্রমিকরা আজ শ্রমের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। মাঝে মাঝে শ্রমিকরা তাদের খাবার জোগাড় করতেও ব্যর্থ হচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর আলফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রব্বানী, লস্কর মো. তসলিম, মাস্টার শফিকুল আলম, কবির আহমেদ, মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও মনসুর রহমান প্রমুখ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দেশে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য অনেক আইন কানুন আছে। তা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা যাচ্ছে না।

শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। যত পেশা তত ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের কথা তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনকে ব্যাপকভাবে সামাজিক কাজ করতে হবে।

শ্রমিকদের বিপদে-আপদে সবার আগে হাজির হতে হবে। শ্রমিকদের নৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। শ্রমিকদের জীবন গঠন করার জন্য আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর জীবনকে অনুসরণ করতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) সবাইকে সবার আগে সালাম দিতেন। আমাদেরকে সালামের ব্যাপক প্রচলন করতে হবে।
একইসঙ্গে আমাদের নবী (সা.) সেই সোনালি যুগে যেভাবে শ্রমিকদের মাঝে ইসলামী শ্রমনীতির প্রয়োগ করেছিলেন আজকেও আমাদের অনুরূপভাবে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমিকদের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
অধ্যাপক মুজিব বলেন, বর্তমান পৃথিবী শাসক ও শোষিত শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। শাসকের শোষণ থেকে মেহনতি শ্রমজীবী মানুষদের মুক্ত করতে আমাদের সর্বত্র লড়াই সংগ্রাম করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শামসুল ইসলাম বলেন, দেশের যেখানে শ্রমিকরা বঞ্চিত হবে সেখানে সবার আগে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের ছুটে যেতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য কণ্ঠ উঁচু করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন ছাড়া শ্রমিক সংগঠন তার কাঙ্ক্ষিত কাজ করতে পারে না। তাই আমাদের সংগঠনকে ট্রেড ইউনিয়ন মুখী করতে হবে। শ্রমিকদের নিয়ে পেশাভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মালিকদের সঙ্গে কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে ইসলামী শ্রমনীতির ওপরে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। শ্রমিকদের নিয়ে বেশি বেশি কর্মশালা আয়োজন করে তাদেরকে শ্রম আইনসহ অন্যান্য আইনকানুনে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আজকের দিনে শ্রমিকরা স্বস্তি চান। তারা নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে চান না। শ্রমিকদের মুক্তি আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের ধারণ করতে হবে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তির কাঙ্ক্ষিত মঞ্জিলে পৌঁছে দিতে হবে।

news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৯:৪৩
রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামীল, মহাসচিব মাইকেল
বিশেষ প্রতিনিধি
রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামীল, মহাসচিব মাইকেল
সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা রেজিস্টার খন্দকার জামীলুর রহমান। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদরের সাব-রেজিস্টার মাইকেল মহিউদ্দীন আবদুল্লাহ।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সংগঠনটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহিদুর রহমান, কমিশনার মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ও মফিজুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফলাফল জানানো হয়।

আরো পড়ুন
সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে : কাদের গণি চৌধুরী
সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে : কাদের গণি চৌধুরী

কমিটির অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি-মোহাম্মদ রমজান খান, সহসভাপতি আবদুল বারী, আফসানা বেগম, আশ্রাফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, আবু তালেব, মুনিরুল হাসান এবং ওসমান গনি মন্ডল।

যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোর্তজা, শাহিন আলম ও জাহাঙ্গীর আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বাবর মিরোজ ও যুগ্মসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বাতেন। কোষাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, যুগ্ম-কোষাধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আদনান নোমান, যুগ্মসাংস্কৃতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক খায়রুল বাশার ভুইয়া পাভেল, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক রায়হান মিয়া, যুগ্মপ্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আরিফুর রহমান, কল্যাণ সম্পাদক এস এম আবু মুসা, দপ্তর সম্পাদক আলী আজগর, যুগ্মদপ্তর সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, আইন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, আইসিটি সম্পাদক মকছু মিয়া, সম্পাদক খিদমত আজমল হোসেন, যুগ্মসম্পাদক খিদমত জাহিদুর রহমান ও রায়হান হাবীব ও মহিলা সম্পাদক উম্মে সালমা।
নির্বাহী সদস্যরা হলেন, শেখ কাওসার আহমেদ, অহিদুল ইসলাম, হাফিজা হাকিম রুমা, ইমরুল খোরশেদ, শাহজাহান আলী, শাহীন আলী, ফয়সাল বিন সালেহ, আসিফ নেওয়াজ, তানিয়া সুলতানা, মশিউর রহমান ও আবদুর রহমান।

news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৯:২৬
সংখ্যালঘুদের ওপর বেশির ভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সংখ্যালঘুদের ওপর বেশির ভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : পুলিশ
সংগৃহীত ছবি
সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে যেসব সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। এ সময়ে সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলায় অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

প্রেস উইং জানায়, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল বলে উঠে এসেছে পুলিশের এক প্রতিবেদনে।

সরকার ইতোমধ্যে এসব হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের যে কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি শূন্য সহিষ্ণু নীতি প্রহণ করেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেছে, অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে : দুলু
একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে : দুলু

প্রেস উইং আরো জানায়, এসব হামলার শিকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা করেছে সরকার।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ ও লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে মানবাধিকার সমুন্নত রাখাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট ১,৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে দাবি করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে- এসব হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পদ ও উপাসনালয়ের ওপর ২০১০টি ঘটনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তৈরি করা অভিযোগের তালিকা সংগ্রহ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা এই সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু বলে দাবি করা হচ্ছে, পুলিশ সেসব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। পুলিশ ঐক্য পরিষদের তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকটি স্থান, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির কাছে গিয়ে তদন্ত করেছে।

ভুক্তভোগীদের পুলিশের কাছে অভিযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, তদন্তের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সাধারণ ডায়েরি, নিয়মিত মামলা এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

১,৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে, পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলার প্রাথমিক তথ্য নির্ধারণ করে মামলা করেছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হামলাগুলো সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না বরং সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক ছিল। কমপক্ষে ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, মোট অভিযোগের ৮২.৮ শতাংশ বা ১ হাজার ৪৫২টি ঘটনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঘটেছে, যেদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। পরিষদের তথ্য মতে, ৪ আগস্ট ৬৫টি এবং ৬ আগস্ট ৭০টি ঘটনা ঘটেছে।

ঐক্য পরিষদের হিসাবের বাইরে পুলিশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ১৩৪টি অভিযোগ পেয়েছে।

পুলিশ এসব অভিযোগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রহণ করেছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে অন্তত ৫৩টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ৬৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা করা হয়েছে এবং অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে জানিয়ে প্রেস উইং জানায়, তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ এলে পুলিশ সদরদপ্তরের একটি ফোকাল পয়েন্ট সেই অভিযোগ পর্যালোচনা করছে। প্রতিটি অভিযোগ নিরসনে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।