স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া ভালো, বিজ্ঞান যা বলে

শীত আসতেই শুরু হয় বিয়ের মৌসুম। এই পবিত্র বন্ধন দুটি মানুষ তথা দুটি পরিবারকে একসুতোয় গেঁথে রাখতে সহযোগিতা করে। আমাদের সমাজে বিশ্বাস করা হয় যে স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু এই একই সমাজে এমন অনেক সফল দম্পতি আছে, যেখানে স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বয়সে বড়।

এমন পরিস্থিতিতে সবার মনেই প্রশ্ন থেকে যায় স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান ঠিক কতটা হওয়া উচিত।
পরিবর্তনশীল সমাজে, বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে তথা নারী-পুরুষের সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে মানুষের চিন্তাধারা ও অনেক ঐতিহ্যের পরিবর্তন হয়েছে। ভেঙেছে অনেক প্রথা-প্রচলন ও মিথ। আমাদের সমাজে দেখে শুনে বা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের প্রথা থাকলেও বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম প্রেমের বা ভালোবাসার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরে পরিণতি স্বরূপ বিয়ে করার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ে সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আজকের প্রতিবেদনে জানবেন বিজ্ঞান অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত।
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত

এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় আসার আগে স্পষ্ট মাথায় রাখা জরুরি যে বিজ্ঞানে বিবাহের কোনো ধারণা নেই। বরং এখানে আলোচনা করে জেনে নেওয়া যেতে পারে একজন পুরুষ ও একজন নারীর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত।

বিজ্ঞান বলে নারী-পুরুষের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটলেই তারা শারীরিক সম্পর্কে সক্ষম হন। এই পরিবর্তন ৭ থেকে ১৩ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ঘটতে শুরু করে। যেখানে পুরুষদের মধ্যে এই পরিবর্তন ঘটে ৯ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এই হরমোনের পরিবর্তন পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে তাড়াতাড়ি ঘটে। এ কারণে তারা পুরুষদের তুলনায় তাড়াতাড়ি শারীরিক সম্পর্ক করতে সক্ষম।