মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম খুলনার সুশোভন বাছাড়

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনার সুশোভন বাছাড়। আজ রোববার বিকেলে প্রকাশিত ফলাফলে সুশোভন বাছাড় সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৬ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।

সুশোভনদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। থাকেন খুলনা নগরের আজিজের মোড় এলাকায়। তাঁর বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন। তবে এখন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।

সুশোভন টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তাঁদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর মা–বাবার সঙ্গে সুশোভন বাছাড়
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর মা–বাবার সঙ্গে সুশোভন বাছাড়ছবি: প্রথম আলো
সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু সে জন্য কোনো একাডেমিক কোচিংয়ে পড়ানো হয়নি। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম।’ তিনি বলেন, ছোট থেকে সুশোভন বিভিন্ন ধরনের বই পড়ত।
সুশোভন বাছাড় প্রথম আলোকে বলে, ‘আমি কখনো টাইম হিসেব করে পড়াশোনা করিনি। রাত জেগে কখনো পড়িনি। এটাকে সাপোর্টও করি না। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। তবে আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েনস ফিকশন, থ্রিলার-জাতীয় বই আমার খুব প্রিয়।’

সুশোভন বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাঁদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি। দোয়া করবেন যেন ভালো ডাক্তার হতে পারি। কুয়েটেও চান্স হয়েছে।’

ফলো করুন
সুশোভন বাছাড়
সুশোভন বাছাড়ছবি: প্রথম আলো
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনার সুশোভন বাছাড়। আজ রোববার বিকেলে প্রকাশিত ফলাফলে সুশোভন বাছাড় সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৬ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।

সুশোভনদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। থাকেন খুলনা নগরের আজিজের মোড় এলাকায়। তাঁর বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন। তবে এখন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।

সুশোভন টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তাঁদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর মা–বাবার সঙ্গে সুশোভন বাছাড়
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর মা–বাবার সঙ্গে সুশোভন বাছাড়ছবি: প্রথম আলো
সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু সে জন্য কোনো একাডেমিক কোচিংয়ে পড়ানো হয়নি। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম।’ তিনি বলেন, ছোট থেকে সুশোভন বিভিন্ন ধরনের বই পড়ত।

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল যেভাবে পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, সেরা শিক্ষার্থীর স্কোর ৯০.৭৬
সুশোভন বাছাড় প্রথম আলোকে বলে, ‘আমি কখনো টাইম হিসেব করে পড়াশোনা করিনি। রাত জেগে কখনো পড়িনি। এটাকে সাপোর্টও করি না। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। তবে আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েনস ফিকশন, থ্রিলার-জাতীয় বই আমার খুব প্রিয়।’

সুশোভন বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাঁদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি। দোয়া করবেন যেন ভালো ডাক্তার হতে পারি। কুয়েটেও চান্স হয়েছে।’

ফলাফল প্রকাশের পর থেকে সুশোভনের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন
ফলাফল প্রকাশের পর থেকে সুশোভনের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেনছবি: প্রথম আলো
সুশোভনের মা বন্দনা সেন বলেন, ‘আমি শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারপর কেঁদে ফেলেছিলাম।’

এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মোসলেম মিম প্রথম হয়েছিলেন।

তথ্য সংশোধন
বাবার বক্তব্যের বরাতে সুশোভন বাছাড় মেডিকেলে ভর্তির জন্য কোনো কোচিং করেননি—বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে পরে প্রথম আলোর সঙ্গে সুশোভনের বাবার কথাপকথনের রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর বাবা একাডেমিক কোচিং না করার কথা বলেছেন। তথ্য উপস্থাপনে অসংগতির জন্য আমরা দুঃখিত।