স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি : ২২ ক্যারেট সোনার বর্তমান মূল্য

বাংলাদেশে সোনার বাজার প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আজ ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, এবার আজকের স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি কমেছে। বর্তমান সোনার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ভরিতে ১,৭২,৫৪৬ টাকা, যা আগের তুলনায় ৫,৩৪২টাকা কম। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের রেটের মধ্যে ৫% ভ্যাট এবং অলংকার তৈরির আনুমানিক ৩,৫০০ টাকা মজুরি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মূল্যবৃদ্ধির কারণ ও বাজার পরিস্থিতি

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ভরি বৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশ্ববাজারে ডলার বিনিময় হার ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে দেশীয় বাজারে। বিশেষ করে রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতরের আগে এই দাম বৃদ্ধি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন লাভজনক, তেমনি সাধারণ গ্রাহকদের জন্য বাড়তি ব্যয়সাধ্য।
অন্যান্য ক্যারেট অনুযায়ী স্বর্ণের দাম
২১ ক্যারেট: ১,৬৪,৬৯৬ টাকা (কম: ৫,১০৯ টাকা)
১৮ ক্যারেট: ১,৪১,১৬৯ টাকা (কম: ৪,৩৭৪ টাকা)
সনাতন পদ্ধতির সোনা: ১,১৬,৭৮০ টাকা
এই দামের তারতম্য অলংকার তৈরির ক্যারেট ভেদে নির্ধারিত হয়। ২২ ক্যারেট সাধারণত সবচেয়ে বিশুদ্ধ এবং জনপ্রিয়।

আনা অনুযায়ী সোনার দাম বিশ্লেষণ
বাংলাদেশে এক ভরি সোনা সমান ১৬ আনা। আনার ভিত্তিতে সোনার দাম নিচে দেওয়া হলো:

২২ ক্যারেট:
১ আনা – ১০,৭৮৪ টাকা
৮ আনা – ৮৬,২৭৩ টাকা
২১ ক্যারেট:
১ আনা – ১০,২৯৩.৫ টাকা
৮ আনা – ৮২,৩৪৮ টাকা
১৮ ক্যারেট:
১ আনা – ৮,৮২৩ টাকা
৮ আনা – ৭০,৫৮৪ টাকা

রুপার বাজার মূল্য

শুধু সোনা নয়, রুপার বাজারেও এসেছে পরিবর্তন। আজকের হিসাবে রুপার দাম নিচে দেওয়া হলো:

২২ ক্যারেট রুপা – ২,১০০ টাকা
২১ ক্যারেট – ২,০০৬ টাকা
১৮ ক্যারেট – ১,৭১৫ টাকা
সনাতন রুপা – ১,২৮৩ টাকা
রুপার বাজার মূল্য কম হলেও গয়নার জন্য এটি এখনো অনেকে ব্যবহার করেন।

স্বর্ণ ক্রয়ের আগে যা জেনে রাখা জরুরি
স্বর্ণ কেনার সময় অবশ্যই নির্ভরযোগ্য জুয়েলারি দোকান থেকে ক্রয় করা উচিত। ব্যাচ নম্বর, ক্যারেট মার্কিং এবং বাজুস অনুমোদিত দোকানগুলির তালিকা দেখে তবেই সোনার লেনদেন করুন। বেশি দামে অথবা ছাড়ে কেনার আগে নিশ্চিত হন যে সোনা আসল ও নির্ধারিত মানের।

বৃদ্ধি পেলেও দামে পরিবর্তন আসে।

বিজ্ঞাপন
সোনার বিনিয়োগ: আজকের দাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

বর্তমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় সোনা বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। সোনার দাম প্রতিদিন জানলে বিনিয়োগের সঠিক সময় নির্ধারণ করা সহজ হয়।

বাজার বিশ্লেষণ: কি বলছে সোনা ব্যবসায়ীরা?

অনেক সোনা ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার চাহিদা বাড়ছে। সেই সাথে ভোক্তাদের আগ্রহও বেড়েছে। অনেকে আবার পণ্য কর ও মজুরি বৃদ্ধির কারণে দাম বেশি মনে করছেন।

FAQ: প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
Q: আজকের দিনে ২২ ক্যারেট সোনার দাম কত?
A: ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম ১,৭২,৫৪৬ টাকা।
Q: সোনা কেনার সময় ভ্যাট ও মজুরি কিভাবে প্রযোজ্য হয়?
A: নির্ধারিত দামের উপর ৫% ভ্যাট এবং গড় হিসেবে ভরি প্রতি ৩,৫০০ টাকা মজুরি যোগ হয়।
Q: রুপার দাম কোথায় জানা যাবে?
A: আপনি ব্যবসা ও অর্থনীতি বিভাগে নিয়মিত রুপার দাম আপডেট পেতে পারেন।
সোনার দাম প্রতিদিন পরিবর্তিত হয় এবং এই পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নেন। ২২ ক্যারেট সোনার দাম আজ কত সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা অলংকার কিনতে চান বা বিনিয়োগ করছেন তাদের জন্য। সঠিক তথ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক হতে পারে।

কেন বাড়ছে স্বর্ণের দাম?
বিশ্লেষকদের মতে, কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে বাড়ার পেছনে:

✅ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা – সুদের হার ও ডলারের রেট বাড়ায় স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই।
✅ ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা – ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা সংকট ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা স্বর্ণের চাহিদা বাড়াচ্ছে।
✅ দেশীয় চাহিদা – বিয়ের মৌসুম ও উৎসবের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের বাজারে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়লে বা নতুন কোনো ভূরাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরি ১,৫৪,৯৪৫ টাকা – যা সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ।
✅ আমাদের সাইটে প্রতিদিনের সোনার দাম ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়।

ডিজিটাল সোনা (Digital Gold): নতুন যুগের বিনিয়োগ পদ্ধতি

সোনা কেনার আগে আপডেট মূল্য জেনে নিন

সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। ফলে স্বর্ণ কেনার আগে সর্বশেষ দাম জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কেন প্রতিদিন সোনার দাম পরিবর্তন হয়?
স্বর্ণের মূল্য আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, ডলার বিনিময় হার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পরিবর্তিত হয়। বিশেষ করে, বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট আজকের সোনার দাম / স্বর্ণের দাম কত তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমদানি খরচ, শুল্ক নীতি, এবং বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সোনার মূল্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। যারা অলংকার বা বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণ ক্রয় করতে চান, তাদের প্রতিদিনের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত তা জানা জরুরি। বাজার বিশ্লেষণ করে সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

আরও পড়ুন: স্বর্ণ কত প্রকার: সনাতন স্বর্ণ ও অন্যান্য ধরন, ব্যবহারসহ সম্পূর্ণ গাইড

বাংলাদেশে সোনার দামের ওঠানামার কারণ
• আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব: বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ভরি বাড়লে বা কমলে বাংলাদেশেও তার
প্রভাব পড়ে।
• মুদ্রাস্ফীতি: বাংলাদেশে টাকার মূল্য কমে গেলে সোনার দাম / স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
• ডলারের বিনিময় হার: ডলার শক্তিশালী হলে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।
• সরকারি নীতিমালা: আমদানি শুল্ক, ভ্যাট এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির উপর স্বর্ণের দাম
নির্ভরশীল।
• বিনিয়োগ ও চাহিদা: বিয়ের মৌসুম, উৎসব, এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের কারণে স্বর্ণের
চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বাড়ে।

এমাজন এফবিএ: সম্পূর্ণ গাইড (Amazon FBA)

বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়

• বাজার স্থিতিশীল থাকলে: দাম বেশি ওঠানামা না করলে বিনিয়োগ করা সুবিধাজনক।
• বিয়ের মৌসুমের আগে: সাধারণত বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়, তাই আগেই কেনা
ভালো।
• রমজান ও ঈদের আগে: এই সময়ে চাহিদা বাড়ার কারণে দাম বাড়তে পারে।
• আন্তর্জাতিক বাজার কমলে: বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলে বাংলাদেশেও তা কমার
সম্ভাবনা থাকে।

• বাজার দর যাচাই করুন।
• স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করুন।
• অতিরিক্ত চার্জ (মজুরি, ভ্যাট) সম্পর্কে জানুন।
• অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুন।

প্রশ্ন ১৮: ডিজিটাল গোল্ড কি?

উত্তর: ডিজিটাল গোল্ড হলো একটি বিনিয়োগের বিকল্প যেখানে বিনিয়োগকারীরা অনলাইনে নির্দিষ্ট
পরিমাণ স্বর্ণ কিনতে পারেন। ভারতে এটি বেশ জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে এখনো ব্যাপকভাবে চালু
হয়নি।

প্রশ্ন ১৯: বাংলাদেশ ও ভারতের সোনার বাজারে ভবিষ্যৎ প্রবণতা কেমন হতে পারে?

উত্তর: অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মার্কিন ডলারের বিনিময় হার, মুদ্রাস্ফীতি, এবং কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের নীতির উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম/ সোনার দাম সহ ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের সোনা বাজার সম্পর্কে সচেতন হওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। স্বর্ণ কেনা, বিক্রি, বিশুদ্ধতা যাচাই, কর ব্যবস্থাপনা, এবং বিনিয়োগের বিকল্প
সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে এটি একটি লাভজনক বিনিয়োগ হতে পারে।