লাইফস্টাইল ডেস্ক: মানবদেহের জৈবিক চাহিদা নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে সহবাসের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা নির্ভর করে হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক অবস্থা, দৈনন্দিন অভ্যাস ও পরিবেশের ওপর। কিন্তু দিনের কোন সময়ে নারীদের এই চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে? গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত বলছে, সময়ের সঙ্গে নারীদের যৌন চাহিদার ওঠানামা স্বাভাবিক।
সকালের প্রভাব
অনেক গবেষণা বলছে, সকালে শরীরে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে, যা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতার ইচ্ছা বাড়াতে পারে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও বেশি নির্ভর করে তাদের মানসিক প্রশান্তি ও ঘুমের গুণগত মানের ওপর।
দুপুর ও বিকেলের সময়ে কী ঘটে?
ব্যস্ত কর্মদিবসের মাঝে নারীদের মনোযোগ সাধারণত কাজ বা ব্যক্তিগত দায়িত্বের দিকে বেশি থাকে। ফলে দুপুর বা বিকেলে যৌন চাহিদা তুলনামূলক কম হতে পারে। তবে কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, কর্মক্ষেত্রের চাপ কমে গেলে বা কাজের মাঝে কোনো রোমান্টিক যোগাযোগ হলে এই সময়েও আকাঙ্ক্ষা তৈরি হতে পারে।
রাতেই বেশি চাহিদা?
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, নারীদের যৌন চাহিদা সবচেয়ে বেশি হতে পারে রাতে। কারণ দিনের কাজের চাপ কমে যায়, মানসিক ও শারীরিকভাবে তারা আরামদায়ক অবস্থায় থাকে। এ ছাড়া সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর জন্যও রাতের সময়টি বেশি উপযোগী বলে মনে করা হয়।
হরমোনের প্রভাব ও ব্যক্তিগত পার্থক্য
নারীদের শরীরে মাসিক চক্র অনুযায়ী হরমোনের ওঠানামা হয়, যা তাদের যৌন চাহিদার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। মাসিকের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে (যেমন ডিম্বাণু নির্গমনের সময়) এই চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পেতে পারে।
কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই!
তবে গবেষকরা মনে করেন, নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় ব্যক্তির মানসিক অবস্থা, সম্পর্কের গভীরতা এবং দৈনন্দিন জীবনধারা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু নারী সকালের দিকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, আবার কেউ রাতের নিরিবিলি পরিবেশে বেশি স্বতঃস্ফূর্ত থাকেন। তাই এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার।
শেষ কথা
সহবাসের চাহিদা সময়ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে, যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এটি নির্ভর করে শরীরের হরমোন, দৈনন্দিন অভ্যাস এবং মানসিক অবস্থার ওপর। তাই নিজের এবং সঙ্গীর চাহিদা বোঝা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোই সম্পর্কের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।