সামরিক শাসন হলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্তার শাসন যেখানে শাসনকর্তা হন সামরিক বাহিনীর প্রধান স্বয়ং। পূর্ববর্তী সরকারের প্রশাসনিক, আইনি ও বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থার বাতিলকরনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন উক্ত সামরিক প্রধান। সাময়িকভাবে সাধারণ শাসকদের ব্যার্থতায় তাদের হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা সামরিক শাসকের হাতে যায় ও কার্যকরী হয়। (উদাঃ নিরাপত্তাজনিত কারণে বা জরুরি অবস্থার ভিত্তিতেও সামরিক শাসন চালু হতে পারে)
পোল্যান্ডে সামরিক শাসন কালে
সরকার জনগণের ওপর জোর করে সামরিক শাসন চাপিয়ে দিতে পারে আইনের শাসনকে বলবৎ করার নামে। সাধারণত প্রাসাদ বিপ্লব বা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে (২০০৬ এবং ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে যেমন ঘটেছিল) সামরিক শাসন জারী হতে পারে। গণ আন্দোলন দমনে (১৯৮৯ এ চীনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ার, ১৯৮৯ বা ২০০৯ এ ইরানের সবুজ আন্দোলন), রাজনৈতিক বিরোধীতাকে সামাল দিতে (পোলান্ডে, ১৯৮১) বা অভ্যুত্থান/অনাগত অভ্যুত্থানকে দমন করতে সামরিক শাসন জারী হওয়ার ইতিহাস আছে। এছাড়া বৃহৎ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ইত্যাদিতেও তা হতে পারে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রকার জরুরি অবস্থায় এই শাসনের বিধান দেখতে পাওয়া যায়।
জাতীয় গোলযোগে, সাধারণ নির্বাচিত সরকারের ব্যর্থতায় সামরিক শাসন জারী হওয়ার উদাহরণ আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানি ও জাপান ও আমেরিকান গৃহযুদ্ধের পরে দেশের পূনর্গঠনের সময়।