সুখী হতে চান? তবে এই চারটি কথা কখনও স্ত্রীকে বলবেন না!

নারীদের অন্যতম অলংকার হচ্ছে লজ্জা। এটা স্বাভাবিকও বটে। মেয়েদের এমন কিছু গোপনীয় বিষয় আছে, যেটা তারা কখনোই পুরুষকে বলেন না। এমনটা থাকতেই পারে, যা নিয়ে বলাবলির কিছু নেই। আমাদের সমাজে যতই বলা হোক নারী-পুরুষ সমান অধিকার। কিন্তু যে যাই বলুক না কেন, মেয়েদের ভুবনের একান্ত পরিসরগুলোয় পুরুষের প্রবেশ আজও নিয়ন্ত্রিত। এ বিষয়টি নিয়ে মনোবিদরা বিশেষ ভাবে চিন্তিত, আর সেই কথা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়েবসাইট ‘চেঞ্জপোস্ট’। এই প্রতিবেদনে মেয়েদের এমন কিছু ‘সিক্রেট’ তথ্যের কথা বলা হয়েছে, যা তারা কখনোই শেয়ার করেন না।

এদিকে, পুরুষরাও সচরাচর এই সব প্রসঙ্গের অবতারণা মেয়েদের সঙ্গে করেন না। তবে ‘চেঞ্জপোস্ট’-এ উল্লিখিত বিষয়গুলি কিন্তু সর্বজনীন নয়। কখনো এটা ব্যতিক্রমও ঘটে থাকে। চলুন এমন ৪ টি বিষয় জেনে নেই! যার সঙ্গে আমাদের সমাজের কিছুটা মিল রয়েছে।

১. মেয়েরা কাকে ঈর্ষা করেন, এ কথাটি কখনোই কাউকে পরিস্কার করে বলেন না। যদি তাদের কোনো ঘনিষ্ঠ জন বিষয়টির অবতারণা করেন, তাহলে তারা সরাসরি তা অস্বীকার করেন।

২. মেয়েরা মাথার চুল পাকলে তা কালো কিংবা স্বাভাবিক রং করা কথা কাউকে বলতে চান না। কোনো মহিলায় স্বীকার করতে চান না, তার চুলের রং, কলপ-রহস্য।

৩. মেয়েদের পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে এমন কিছু অস্বস্তি বোধ করে ন। কিন্তু মেয়েরা সেটি রীতিমতো চেপে যান। যেমন সঙ্গীর গায়ের কিংবা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এগুলো সহ্য করেন। কখনোই প্রকাশ করেন না।

৪. মেয়েরা পুরুষের কাছে কয়েকটি প্রসাধন, বিশেষ করে ওয়াক্সিং-এর মতো বিউটি ট্রিটমেন্টের কথা চেপে যান। অবাঞ্ছিত লোমনাশন আজও এক ‘গোপন’ কর্ম।

উপরের এই কথা গুলো মেয়েরা মুখ ফুটে না বললেও পুরুষ এর সবই জানে।

১। আর্থিক ক্ষতি: প্রথমেই তিনি বলেছেন, আর্থিক ক্ষতি যদি হয়, তবে তা কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, সকলেই শুনবেন তবে কেউ সাহায্য করবেন না। উল্টে আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু মানুষ জেনে যাবেন। ফল হবে, তারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করবেন। এ সময়ে যদি কেউ সাহায্য করার কথা বলে, জানবেন তিনি মিথ্যে বলছেন। চাণক্য আরও লিখেছেন, এ সমাজে দরিদ্র ব্যক্তিকে কেউ সম্মান করে না। তাই সম্মানহানিরও আশঙ্কা থাকে।

২। ব্যক্তিগত সমস্যা: আর্থিক ক্ষতির মতো ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়। চাণক্য লিখছেন, যাঁরা নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে বাইরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাদের মাথা নিচু করতেই হয়। কারণ যাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে তারাই একদিন অপমান করবে। শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে রসাল আলোচনা, হাসি-তামাশা করা হবে।

৩। স্ত্রীর চরিত্র: সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে এই বিষয়টি দেখিয়েছেন চাণক্য। তিনি লিখছেন, স্ত্রীর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন কথা মুখ ফস্কে বেরিয়ে যেতে পারে যা হয়তো বলতে চাওয়া হয়নি। তবে একবার কথা বেরিয়ে গেলে তা নিয়েই গুঞ্জন শুরু হবে। ক্রমে তা বড় আকার নেবে। পরিনামে যা কখনও ভালো হয় না। তাই নিজের স্ত্রী-র চরিত্র সম্পর্কে কখনও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়।

৪। অশিক্ষিত ব্যক্তির অপমান: যদি কখনও অশিক্ষিত ব্যক্তির কাছে অপমানিত হন তা কখনও কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন না। চাণক্য লিখছেন, যদি এ কথা আলোচনা করেন মানুষ আপনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে ঠাট্টা-তামাশা করবে। যা আপনার আত্মসম্মানের পক্ষে হানিকর হবে। ক্রমে নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে থাকবেন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।