অফথ্যালমোলজি বিশেষজ্ঞ কিমবেরলি ককারহামের পরামর্শ, সকাল উঠে মুখ ধোওয়ার সময় চোখে পানি দেওয়া বা কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময় ছাড়া চোখে হাতে দেবেন না। হাতে যে জীবাণু থাকে, তা সহজেই চোখে চলে যাবে। কখনও চোখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পরলে হাত ধুয়ে তবেই হাত দিন।
খালি হাত মুখে নয়:
যখন-তখন মুখে হাত দেবেন না। ব্রিটেনের জার্নাল অফ অ্যাপলায়েড মাইক্রোবায়োলজির এক সমীক্ষায় জানা গেছে, কাজ করতে করতে অবচেতনেই লোকজন প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৩.৬ বার মুখে বা মুখের চারপাশে হাত দেয়। বিশেষত, একঘেয়েমির সময়। আবার খুব যখন ব্যস্ত, তখনও অন্তত গড়ে ৬.৩ বার মুখের চারপাশে হাত চলে যায়। আঙুল থেকে মুখের অভ্যন্তরে জীবাণু চলে যায়।
নাসারন্ধ্রে হাত দেবেন না:
২০০৬ সালে নাক, কান ও গলার রোগীদের উপর গবেষণা চালিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘ইনফেকশন কন্ট্রোল অ্যান্ড হসপিটাল এপিডেমায়োলজি’। তাতে দাবি করা হয়, যারা খালি হাতে নাক খোঁটেন, তাদের নাসারন্ধ্রে স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ৫১% বেড়ে যায়।
নখের নীচের ত্বক:
অনেক ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর হল নখের ঠিক নীচে ত্বক লাগোয়া অংশ, বিশেষত পায়ের নখের। নখের নীচে জমে থাকা ময়লার সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়াও বাসা বাঁধে। তাই খালি হাতে নখের ময়লা না খুঁটে, ব্রাশজাতীয় কিছু দিয়ে পরিষ্কার করাই ভালো। একই কারণে দাঁতেও নখ কাটবেন না। নখ বড় রাখলে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও বাড়বে। তাই নখ বাড়তে না দিয়ে, কেটে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।